ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ – আজ বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ আয়োজিত প্রোগ্রাম “এম্পাওয়ারিং উইমেন উইথ টেকনোলজি”। নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গ্লোরি গার্লস সেগমেন্টের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরাই ছিলো এই আয়োজনে প্রধান উদ্দেশ্য। এতে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতৃস্থানীয় নারী ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন এবং ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সম্মানিত অতিথি ও বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন:
ডাঃ তানজিবা রহমান (চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফ্রি ল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি), সায়েদা নওশাদ জাহান প্রমি (চেয়ারম্যান, টুগেদার ইনিশিয়েটিভ লিমিটেড), সাবিলা ইনুন (ডাইরেক্টর, ডি ক্যাসালিয়া লিমিটেড), সায়েদা নাফিজা রেজা (ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ডিজি ডট লিমিটেড), নওরিন হক রিদি (ফাউন্ডার, দাড়কাক), অরুপা দত্ত (ম্যানেজিং পার্টনার, অরুতাস ইন্টেরিওর বিডি), ফাহমিদা হোসাইন (চেয়ারম্যান, এলিগ্যান্ট আইটি লি:), সুমাইয়া হক (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ডিজাইনারস টু ইন্টেরিয়রস)
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার জনাব মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান, চিফ এডুকেটর জনাব ওয়াহিদ নিউটন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো আব্দুর রহমান নিপু, ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার গোলাম সারওয়ার এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টর এম আব্দুল্লাহ।
বক্তারা নারী-পুরুষের মধ্যে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, নারীদের প্রযুক্তি খাতে আরও বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করা শুধুমাত্র তাদের জীবনের উন্নতি নয়, বরং পুরো সমাজের উন্নতির জন্যও অপরিহার্য।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার প্রধান হিসেবে নারীদের প্রযুক্তি খাতে উন্নতির জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, “নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন শুধু তাদের জীবনে পরিবর্তন আনবে না, বরং পুরো সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান তার বক্তব্যে বলেন, “আমার লক্ষ্য নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা, যাতে তারা প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং নিজের জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে। আমরা প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে নারী সমাজকে ক্ষমতাশালী করতে চাই, যাতে তারা নিজেদের কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে।”
চিফ এডুকেটর ওয়াহিদ নিউটন বলেন, “গ্লোরি গার্লস এর মতো উদ্যোগগুলো নারীদের প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের নেতৃত্বের ক্ষমতা তৈরি করছে, যা আমাদের প্রযুক্তির ভবিষ্যতকে আরও শক্তিশালী করবে।”
ট্রাস্টি মেম্বার গোলাম সারওয়ার বলেন, “এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শক্তিশালী নেতৃত্বে পরিণত করা এবং তাদের জন্য একটি উন্নত ও সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।”
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ গ্লোরি গার্ল এম্বাসেডর ফাতিহা আয়াত, চাইল্ড রাইট অ্যাকটিভিস্ট ও ক্লাইমেট ক্যাম্পেইনার বলেন, “এই উদ্যোগটি প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করার জন্য একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করবে, বলে আমি বিশ্বাস করি।”